রাখাইনে শ্রেণিকক্ষে রক্তপাত: স্কুলে হামলায় প্রাণ গেল ১৮ ছাত্রের
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে আবারও ভয়াবহতা। থায়েত থাপিন গ্রামের দুটি আবাসিক স্কুলে রাতের আঁধারে চালানো বিমান হামলায় প্রাণ হারিয়েছে অন্তত ১৮ জন, যাদের অধিকাংশই ১৭–১৮ বছর বয়সী ছাত্র।
মঙ্গলবার গভীর রাতে, যখন শিক্ষার্থীরা ঘুমিয়ে ছিল, তখন স্কুল ভবনের উপর ফেলা হয় দুটি ৫০০-পাউন্ড বোমা। বিস্ফোরণে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয় শ্রেণিকক্ষ, ছড়িয়ে পড়ে বই, ব্যাগ আর রক্ত।
আহত হয়েছেন আরও ২১ জন, যাদের মধ্যে অন্তত ৬ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
এই হামলার দায় স্বীকার করেনি মিয়ানমার সেনাবাহিনী, তবে স্থানীয়রা ও Arakan Army (AA) নিশ্চিত করেছে—এটি ছিল রাষ্ট্রীয় বাহিনীর বিমান হামলা।
আন্তর্জাতিক মহল, বিশেষ করে UNICEF, এই হামলাকে “নৃশংস” বলে অভিহিত করেছে। তারা বলেছে, “রাখাইনে শিশু ও পরিবারই চূড়ান্ত মূল্য দিচ্ছে।”
এই ঘটনার পর রাখাইনে উত্তেজনা আরও বেড়েছে। Arakan Army ইতিমধ্যে ১৪টি টাউনশিপের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে এবং কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে স্বায়ত্তশাসনের দাবিতে লড়াই করছে।
এদিকে, অঞ্চলজুড়ে ইন্টারনেট ও মোবাইল সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ, যাতে তথ্য বাইরে না যায় এবং স্বাধীনভাবে যাচাই করা না যায়।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে লক্ষ্য করে এমন হামলা শুধু মানবাধিকার লঙ্ঘন নয়, এটি ভবিষ্যৎ প্রজন্মের উপর সরাসরি আঘাত।
রাখাইনের আকাশে এখন শুধু যুদ্ধবিমান নয়, ভেসে বেড়াচ্ছে শোক, ক্ষোভ আর প্রতিরোধের আহ্বান।
মন্তব্য করুন